‘বুক পকেট’ – কাজল পারভেজ

প্রথম প্রকাশঃ অক্টোবর ১৭, ২০২০ সময়ঃ ৫:০৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৫১ অপরাহ্ণ

সেদিন চলে যাওয়ার সময় আমার বারবার মনে হচ্ছিল আমি স্বপ্নে আছি। আমার বুকের তিন ইঞ্চি গভীর থেকে আস্ত একটা ময়না পাখি ডানা ঝাপটাঝাপটি করে উড়ে গেল। চোখ থেকে টুপ করে দুই ফোটা পানি মাটিকে জানান দিল – রোবট ছেলেটা কান্না করছে। সাংঘাতিক।
আমার কিছু স্বপ্ন ছিল। বুকপকেটে তোমার দেওয়া সস্তা একটা চিরকুট ছিল।চিরকুট টা আমি খুলে দেখেনি। মন
খারাপের ওষুধ মনে করে চিবিয়ে খেয়েছি!
অগোছালো জীবনের একটা গোছানো নাম ছিল ‘তুমি’।
আমি ছন্নছাড়া যুবক। ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে সুতোয় হাত কেটেছি বহুবার। গোলাপের কাটা নেই ভেবে মুঠোয় নিয়ে হাত ক্ষতবিক্ষত করেছি কত সন্ধ্যায়। হিসেব নেই।
জানোই আমি অল্পভাষী যুবক। ঘ্যানর ঘ্যানর কথাবার্তা একদম পছন্দ না। শুধু একটা কথা জিগ্যেস করেছি -আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে তো? মেয়েটা চুপ করে দাঁড়িয়েই ছিল। চুপ থাকা সম্মতি জানানোর লক্ষণ।জানি ভালো থাকবে;ভালো থাকার জন্যই ছেড়ে যাচ্ছে।
কোন এক বসন্তে মেয়েটার হাতে হাত রেখে কথা দিয়েছিলাম -যদি কখনো ছেড়ে যাও; গালি দিতে পারব না, হাত কাটতে পারব না, আকুতি মিনতি করতে পারব না। চলে গেলে যাও; পিঁছু ফিরে তাকিও না। অনুরোধ।
তুমি চলে যাওয়াতে আমি আমাকেই দায়ী করেছি বারবার। দোষ তোমারও ছিল না, আমারও ছিল না। নিয়তি চাইনি বলে আপন করে পায়নি। হয়তো আমি তোমার যোগ্য ছিলাম না বা আমার ভালোবাসার।

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G